তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে রচনা লিখন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
উপক্রমণিকাঃ
পুরো মানব জাতি কৃষিবিপ্লব ও শিল্পবিপ্লব
অতিক্রম করার পর নতুন এক বিপ্লবের মুখোমুখি হয়েছে। এই নতুন বিপ্লব হল তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তির বিপ্লব।অন্যান্য বিপ্লবের মত নতুন
এই বিপ্লবও পৃথিবী ব্যাপী মানুষের জীবনসাধনায় পরিবর্তনের হাওয়া বয়ে এনেছে।এই পরিবর্তনের ছোয়ায় পৃথিবীবাসীরা অভিন্ন মানবগোষ্ঠী গঠনের সুযোগ পেয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কিঃ
তথ্য ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন
টেকনোলজি সংক্ষেপে আইটি (IT) বলা হয়।তথ্য এর ক্ষুদ্রতম একক হল ডেটা । ডেটার যোগাযোগ ব্যবস্থার
সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কমিউনিকেশন টেকনোলজি বলা হয়। যোগাযোগ
এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা বা
উপাত্ত আদান-প্রদান করা সম্ভব।
বিশ্বগ্রামঃ
কানাডিয়ান দার্শনিক হারবার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান সর্বপ্রথম বিশ্বগ্রাম বা
গ্লোবাল ভিলেজ শব্দটির প্রচলন করেন।তিনি বইতে বর্ণনা করেছেন কিভাবে বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি
এবং তথ্যের দ্রুত বিচরণ দ্বারা বিশ্ব একটি গ্রাম বা ভিলেজে রুপান্তরিত হয়েছে। গ্লোবাল
ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম এমন একটি পরিবেশ যেখানে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে স্থান
ও সময়ের বিলুপ্তি ঘটিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের মানুষ দ্রুত পারস্পরিক যোগাযোগ সহ
সহযোগিতায় আবদ্ধ থাকে।এককথায়, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বই হল বিশ্বগ্রাম। কিছকাল পুর্বেও তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা
ছিল তারনির্ভর । বর্তমান তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা । এই তারবিহীন প্রযুক্তিই স্থান ও সময়কে
অতিক্রম করে এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যার ফলে তাৎক্ষনিকভাবে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে তথ্যের আদান-প্রদান
করতে পারি।
শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারে একটি শক্তিশালী উপকরণ।ই-বুকের কারণে স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে পাঠ্যবইসহ
অনেক বই ইন্টারনেট হতে ডাউনলোড করে সহজেই পড়া সম্ভব হয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলেই নিজ
দেশে বসে উন্নত দেশের লাইব্রেরীর বইগুলো পড়তে পারে। শিক্ষা গ্রহণের জন্য একদেশ হতে
অন্যদেশ যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা ,নিজের ঘরে বসেই
অনলাইন শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে অন্য
দেশের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। কোভিড-১৯ এর
দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বেশিরভাগ স্কুল্-কলেজ বন্ধ ছিল।কিন্ত অনলাইনের
মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে অন্ধরা ব্রেইল পদ্ধতি
ছাড়াও স্ক্রীন রিডিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বই পড়তে পারে।এভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছে নতুন মাত্রা ও যান্ত্রিকায়ন।
চিকিৎসাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
পৃথিবীর দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলবাসী যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় । তাছাড়াও অনেক উন্নত
দেশেও সর্বজনীন চিকিৎসাসেবা নেই। এমতাবস্থায়
চিকিৎসা সুবিধার জন্য টেলিমেডিসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেলিমেডিসিন হল তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরবর্তী রোগীদের বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসাসেবা।বাংলাদেশেও ইউনিয়ন,
উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে টেলিকনফারেন্স চিকিৎসাসেবা চালু হয়েছে।
সঠিক রোগনির্ণয় রোগীর চিকিৎসার পুর্বশর্ত।প্রযুক্তিনির্ভর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
যথাযথ প্রয়োগে সঠিক রোগনির্ণয় সম্ভবপর হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ও রক্তপাত ছাড়া রোগ নিরাময় করা যাচ্ছে। এই পদ্ধতির নাম ক্রায়োসার্জারি।তাছাড়া মানব
জীনের গবেষণা যে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে তার পেছনে তথ্যপ্রযুক্তির অবদান ব্যাপক।
গবেষণায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
পৃথিবীর জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধিতে গবেষণা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । গবেষণা ক্ষেত্রে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবদান অনস্বীকার্য। পূর্বে গবেষকরা সহজে কোন রেকর্ড রাখতে
পারতেননা, চিন্তাধারা সহজে অন্যের কাছে প্রকাশ ও আলোচনা করতে পারতেননা। বর্তমানে গবেষণাপত্র ই-জার্নাল হিসেবে প্রকাশিত হয়। প্রায়
সব গবেষণাপ্ত্র অনেকটাই উন্মুক্ত।এছাড়াও গবেষণার বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে বা
ব্লগে প্রকাশ করার মাধ্যমে গবেষণার কাজকে আরও
ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
প্রত্যেক দেশ কোন না কোন দ্রব্যের জন্য অন্যান্য দেশের উপর নির্ভর করে ।
তাই পৃথিবীর কোন দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।তথ্য ও
প্রযুক্তির ছোয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যে অভাবনীয় পরিবর্তনের দেখা দিয়েছে।উৎপাদিত পণ্য
বা সেবার গুণগত মান বর্তমানে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভবপর হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহারে।ই-কমার্স,
ই-বিজনেস ও অনলাইন শপিং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে নতুন রুপ দিয়েছে।ব্যাংকিং কার্যক্রম, ক্রেডিট
কোম্পানী সহ অনেক ক্ষেত্রেই তথ্য প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি ছাড়া উন্নত বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রায় অচল।পূর্বে ব্যাংকিং লেনদেনের
জন্য সরাসরি ব্যাংকের শাখায় যাওয়া লাগত, বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্রচলন হওয়ায়
ব্যাংকের শাখায় গিয়ে লেনদেনের প্রয়োজন পড়েনা।এছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা
ও গ্রাহকসেবায় গতি আনয়নে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বিনোদনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
সভ্যতার আদি থেকে বিনোদন হিসেবে
গল্প, বাদ্য, গান, নৃত্য ও নাটক প্রাধান্য পেয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ বিনোদনের মাধ্যম
হল ইলেকট্রনিক যন্ত্রনির্ভর। ইন্টারনেট গেইমিং ,আইপি টিভি, ইউটিউবসহ অনলাইনভিত্তিক
মিডিয়া হল অনলাইন বিনোদন মাধ্যম।স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেটের প্রভাবে ঘরে বসেই পৃথিবীর
যেকোন প্রান্তের অনুষ্ঠান উপভোগ করা যায়।একটা সময় সকল বিনোদনের অনুষ্ঠান তৈরি করা হত
স্থানীয় সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে।বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাবে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
এসেছে। অন্য দেশের নাটক, সিনেমা, গান দেখে ঐ দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়।
সাংস্কৃতিক বিনিময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
সভ্যতা বিকাশের অন্যতম পূর্বশর্ত হল সংস্কৃতি। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে
সহজেই ভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়, এক দেশের স্ংস্কৃতি অন্যদেশ অনুকরণ
করতে পারে।এভাবে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে একক সমাজ সৃষ্টি হওয়ার পথ সুগম
হয়। তবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে পিছিয়ে থাকে অনুন্নত দেশের সংস্কৃতি, এমনকি বিলুপ্ত
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কৃষি ও উৎপাদন ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
উৎপাদন ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ব্যবহার উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে। বর্তমানে হাতের স্পর্শ ছাড়াই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কলকারখানায় পণ্য উৎপাদন চলছে।
কৃষিক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।শস্য উৎপাদন, মৎস্য চাষ, প্রাণিজসম্পদ ও বনজ সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে।জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ,রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধসহ কৃষিক্ষেত্রে যাবতীয় কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে ।এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে জিন প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে।আমাদের দেশেও সরকারি এবং বেসরকারি ওয়েবসাইটে কৃষি সম্পর্কিত তথ্যসেবা পাওয়া যায়।
প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিরক্ষা শিল্পকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।
পূর্বের যুদ্ধের যন্ত্রপাতি ছিল শুধুই হার্ডওয়্যার নির্ভর, বর্তমান যুদ্ধের যন্ত্রপাতি
শুধু হার্ডওয়্যার নয় সফটওয়্যার নির্ভরও।একসময়
বোমার নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা ছিলনা, যেখানে নিক্ষেপ করা হত সেখানেই আঘাত হানত।তথ্য প্রযুক্তি
প্রতিরক্ষা শিল্পকে স্মার্টবোমা ব্যবহার করতে শিখিয়েছে,যে বোমা নির্দেশ শুনে নির্দিষ্ট
জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম।মিসাইল বা ক্ষেপনাস্ত্র তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুতভাবে
লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আগেকার যুদ্ধ ব্যবস্থা ছিল মনুষ্যকেন্দ্রিক, বর্তমান
যুদ্ধব্যবস্থা হল নেটওয়ার্ককেন্দ্রিক।মনুষ্যবিহীন এয়ারক্রাফট বা ড্রোন হল নেটওয়ার্ককেন্দ্রিক
যুদ্ধব্যবস্থার জ্বলন্ত উদাহারণ।তাছাড়া সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ
তৈরি করে ব্যাপকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।এই পদ্ধতি নিরাপদ ও অর্থসাশ্রয়ী।
সংবাদপ্রচারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
বর্তমান বিশ্বে তথ্য এক বিশাল শক্তি।তথ্যের অন্যতম প্রধান উৎস হল সংবাদপত্র।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে সংবাদ ও গণমাধ্যম কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রা, পাশাপাশি
এর পরিধিও বেড়েছে ব্যাপকহারে।পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনা মুহুর্তের মধ্যে
পুরো পৃথিবীর মানুষ জানতে পারে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও যুদ্ধের খবর পুরো পৃথিবীজুড়ে বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার
জন্ম দেয়।তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদপ্রচার উন্মুক্ত ও সহজ হওয়ায় মিথ্যা সংবাদ
ও প্রচারণার প্রকোপ বাড়ছে।
শিল্প-সাহিত্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
বর্তমানে শিল্প-সাহিত্যের প্রসারের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির
প্রভাব অপরিসীম। প্রকাশনার ক্ষেত্রেও তথ্য প্রযুক্তি বিরাট সাফল্য এনে দিয়েছে। যার
ফলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে শিল্প সাহিত্যকে সহজে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নেতিবাচক দিকঃ
তথ্যপ্রযুক্তির ছোয়ায় পৃথিবীর সকল মানুষ কোন না কোনভাবে জড়িত।তাই, এর ব্যবহারে
নৈতিকতার বিষয়টিও খুবই দরকারি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক অনৈতিক কাজ সংঘটিত হয়।তার
মধ্যে বহুল প্রচলিত সাইবার ক্রাইম হলঃ হ্যাকিং, ফিশিং, স্প্যামিং, সফটওয়্যার পাইরেসি,
প্লেজিয়ারিজম ইত্যাদি।ব্যাক্তিগত অপরাধ কিংবা ছোটখাট অপরাধী সংগঠন নিয়ে আমাদের প্রচলিত
সাইবার অপরাধ সীমাবদ্ধ।কিন্তু পৃথিবীর বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো অনেক বড় বড় অপরাধ
করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।বড় বড় কোম্পানিগুলোর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ডেটা।বর্তমান
বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ অনেকটা ডেটাকেন্দ্রিক।পৃথিবীবাসী যদি অসচেতন থাকে পুরো পৃথিবী কতকগুলি
কোম্পানির হাতে নিয়ন্ত্রিত হবে।
বিশ্বায়ন একটি নতুন অর্থনৈতিক কৌশল । সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আজ সৈন্যসামন্ত
নিয়ে দেশদখল বা প্রত্যক্ষ শাসন করে না। তারা পুঁজি লগ্নির মাধ্যমে পরোক্ষ শোষণ ও শাসন
চালায়।বিশ্বায়ন হতে তৃতীয় বিশ্বের প্রাপ্তির সম্ভাবনা কম বরং হারাবার সম্ভাবনাই বেশি।
বিশ্বায়নের অবাধ প্রতিযোগিতা স্বল্পোন্নত দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
উপসংহারঃ
বাষ্পীয় শক্তি ও বৈদ্যুতিক শক্তির মাধ্যমে দুইটি শিল্পবিপ্লবের সূচনা হলেও
ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির
ব্যবহার আবার নতুন শিল্প বিপ্লবের সূচনা করেছে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির উপর নির্ভর কর।এই প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক থাকলেও পৃথিবীর ধনী-দরিদ্র, অগ্রসর-অনগ্রসর
সকল জাতির জন্য সমান সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছে।বাংলাদেশেও সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে
থেকেও ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে।
Read More:
সময়ানুবর্তিতা/সময়ের মূল্য নিয়ে রচনা লিখন
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে রচনা
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে রচনা লিখন
নিয়মানুবর্তিতা/শৃঙ্খলাবোধ নিয়ে রচনা